গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়। সব মায়েরই স্বপ্ন মেধাবী
সন্তান। আর এটি অনেকটা নির্ভর করে মায়ের সঠিক খাদ্যাভ্যাসের উপর। একজন মা
যদি সঠিকভাবে খাবার না খায় তাহলে সেটি সন্তানের উপর প্রভাব পড়ে। সন্তানের মেধা
বিকাশে যেসব খাবার খাওয়া উচিত।
মেধাবী সন্তান লাভের আশায় পুষ্টিকর খাবারের কোন বিকল্প নেই। তাই সন্তানকে
মেধাবী, পুষ্টি সম্পন্ন করতে হলে আপনাকে ফলিক এসিড, ভিটামিন ডি, লোহা এগুলো
নিয়মিত খাওয়াতে হবে। কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়। বিস্তারিত নিচে দেওয়া
হল।
সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
- গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
- গর্ভাবস্থায় কোন ফল খাওয়া উচিত
- গর্ভকালীন সময়ে কেন সবজি খাওয়া উচিত
- গর্ভাবস্থায় কয়েকটি জুস খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ব অবস্থায় ভিটামিন ডি অভাবের লক্ষণ
- গর্ভাবস্থায় কিছু জরুরী খাবারের তালিকা দেওয়া হল
- গর্ভাবস্থায় কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলা উচিত
- গর্ভাবস্থায় সবেদা ফল খেলে কি হয় বিস্তারিত
- শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়। একজন গর্ভবতীর দৈনিক খাবার তালিকা
কেমন হওয়া উচিত এ বিষয়ে অনেক গর্ভবতী মেয়েরা দ্বিধায় ভোগেন। গর্ভবতী
মেয়ের খাওয়া-দাওয়া, জিন, ইমোশন বাচ্চার গর্ভস্থ ভ্রূণে বেড়ে ওঠা ব্যাপক
ভূমিকা রাখে। একজন মা পেটে সন্তান থাকা অবস্থায় যে খাবারটি খাবে সেই
খাবারের গুনাগুন গুলো সেই সন্তানেরই পাবে তাই একজন মাকে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া
খুবই প্রয়োজন।
সাধারণভাবে আমরা বলে থাকি শিশু জন্মের আগে একজন মা সঠিকভাবে পুষ্টি সম্পন্ন খাবার
খায় এবং খাবার তালিকায় যদি পুষ্টি সম্পন্ন খাবার থাকে, এবং ঠিক সময়ে প্রধানত,
তিন বেলা খাবার খাই। সাথে দুইবার পুষ্টি সম্পূর্ণ নাস্তা খায়, এগুলো যদি নিয়ম
মেনে চলে তাহলে সেই মা তার সন্তানটি সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার আশা করতে পারে। কাজেই
সন্তান বুদ্ধিমান হওয়ার জন্য মাকে পুষ্টিকর খাবার অবশ্যই খেতে দিতে হবে।
গর্ভবতী মায়ের সঠিক খাবারের অভাবে শিশুর মানসিক সমস্যা দেখা দিতে
পারে। গর্ভাবস্থায় একজন মেয়ে কি খায় তা প্রভাব পড়ে সন্তানের উপর।
সন্তান বুদ্ধিমান হয়ে উঠবে মায়ের সঠিক পুষ্টি গুন সম্পূর্ণ খাবার খাওয়ার
মাধ্যমে। গর্ভবতী মেয়েকে আপনাকে সেসব খাবার খাওয়াতে হবে, যেসব খাবারে বাচ্চার
আইকিউ বাড়বে। গর্ভাবস্থায় কি কি খাবার খেলে আপনি বুদ্ধিমান সন্তানের জন্ম দিতে
পারবেন তা নিচে দেওয়া হল।
গর্ভাবস্থায় কোন ফল খাওয়া উচিত
একজন নারীর গর্ভাবস্থায় বিশেষ মুহূর্ত বলা যায়। প্রত্যেক গর্ভাবস্থায় মাকে
অনেক পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। এ সময় গর্ভাবস্থা নারীর প্রতি পাড়া-প্রতিবেশী
সবার একটু বেশি ভালোবাসা থাকে। এখন কথা হচ্ছে যে, এ সময় আপনি পুষ্টিকর সব ফল
খেতে পারবেন (স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে সেগুলো বাদ দিয়ে)। গর্ভাবস্থা এমন এক
সময়ে, সে সময় আপনার মনের ভিতর অনেক রকমের দুশ্চিন্তা উঁকি মারে
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত বিষয়টি বলতে গেলে, যেটি প্রথমে আপনাকে বলব
সেটি হচ্ছে, আপনি সব রকম ফল খেতে পারবেন। (যেগুলো স্বাস্থ্যঝুকি বাড়ে সেগুলো বাদ
দিয়ে)। আপনি যা খাবেন তার অর্ধেক ফলমূল ও সবজি যেন হয় এই পরিমাণ করে খাবেন।
গর্ভাবস্থায় মায়ের সময়, সে সময় আপনি নিজের খেয়ালখুশি মতন ঘুরবেন, খাবেন এবং
সব সময় আপনি খুশি থাকার চেষ্টা করবেন।
গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন কলা খাবেন কারণ কলাতে রয়েছে পটাশিয়াম, যা আপনারা রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। গর্ভকালীন সময়ে এমনিতেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা কম হয় এই কারণে, যেকোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা থাকে।
এছাড়াও হাতের নাগালে পাওয়া যায় পেয়ারা। দেশি পেয়ারা অনেক পুষ্টিকর
হয়ে থাকে এবং চারটি আপেল এবং চারটি কমলালেবু তে যা রয়েছে একটি পেয়ারাতে
তা রয়েছে। তাই আমি মনে করি গর্ভকালীন সময়ে ফল হিসেবে পেয়ারা খাওয়া
উচিত।
গর্ভকালীন সময়ে কেন সবজি খাওয়া উচিত
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার ব্রেন ভালো হয়। বাচ্চা সুস্বাস্থ্য রাখতে এবং
ব্রেন ভালো হয় এ বিষয়ে আলাপ করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে সাক-সবজি জাতীয় খাবার
খেতে হবে। সবজি সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে ডায়াবেটিস এবং পুষ্টির ঘাটতি হয়
এ জাতীয় সমস্যা থেকে আপনাকে দূর করবে। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার,ও
ফলিক এসিডের মত পুষ্টি।
একজন সাধারণ মানুষের চেয়ে গর্ভধারিনী মায়ের বেশি খাবার প্রয়োজন হয়। কারণ তিনি
ভ্রুন এ পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে। এজন্য আপনাকে ঘনঘন খাবার খাওয়া উচিত। আর
যখন আপনি ঘন ঘন খাবার খাবেন তখন আপনার হজম শক্তি একটু ডিফিকাল্ট হয়ে দাঁড়াবে।
তাই আপনার খাবারের তালিকায় যদি শাক-সবজি বেশি থাকে তাহলে, আপনার হজম শক্তির
কোন প্রবলেম হবে না। এজন্য আপনাদের সবজি খাওয়ার প্রতি বেশি নজর দিতে হবে।
কি পরিমাণ সবজি খেলে বাচ্চার বুদ্ধি বাড়ে। গর্ভকালীন মাকে প্রতিদিন ৫০০ গ্রাম
সবজি খেতে হবে। এটি কাঁচা কিংবা রান্না করে আপনি খেতে পারবেন। শাকসবজিতে ভিটামিন
খনিজ ও ফাইবার পাওয়া যায়। তাই মাতৃকালের মায়ের জন্য এটি অত্যন্ত ভূমিকায়
রাখে। নিয়মিত শাকসবজি খাওয়ার ফলে বাচ্চার রক্তস্বল্পতা হ্রাস পায় এবং
রক্তশূন্যতার ঝুঁকি কমায়।
গর্ভাবস্থায় কয়েকটি জুস খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভকালীন সময়ের তাজা ফলমূল শাক সবজি খাওয়া মায়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু এটি অনেকেই খেতে পারেন আবার অনেকে গর্ব অবস্থায় নারীরা একটি খেতে পারেন
না তাই কিছু পন্থা অবলম্বন করে এটি অনায়াসে আপনি খেতে পারবেন। আপনি আপনার বাসায়
ঢাকা ফলমূল দিয়ে এটিকে জুস বানিয়ে খেতে পারবেন। তবে আপনি একটি কথা খেয়াল
রাখবেন যে, এটি খেলে আপনার পানির ঘাটতি পূরণ করবে। নিচে কয়েকটি জুসের নাম দেওয়া
হল।
আপনি কমলার জুস খেতে পারেন কারণ কমলা জুসে রয়েছে ভিটামিন সি। কমলার জুস
খেলে সর্দি থেকে আপনাকে মুক্ত রাখবে। এটি খাবার ফলে আপনার দেহে রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা ও বৃদ্ধি পায়। এছাড়া ও কমলালেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা
আপনার রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি পায়। এবং এটি আপনি অতি সহজেই হাতের নাগালে পেয়ে
যাবেন।
এবার আপনি আপেলে জুস খেতে পারেন না পেলে জুসে রয়েছে আইরন। গর্ভাবস্থায় নারীকে
নিয়মিত আপেল জুস খাওয়াবেন আপেল জুস খাওয়ার ফলে মায়ের ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে।
এছাড়াও
মজার ব্যাপার হচ্ছে বাচ্চা হওয়ার পরও যদি আপনি আপেল জুস খাওয়া চালিয়ে
যেতে থাকেন তাহলে বাচ্চার ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে। আপেল জুস নিয়মিত পান করার ফলে
আপনার গর্ভের বাচ্চার ব্রেন বৃদ্ধি পাবে।
গর্ভাবস্থায় আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড খাওয়ার উপকারিতা
আমাদের শরীরে পুষ্টি ও বুদ্ধি বিকাশের জন্য ফলিক এসিডের অত্যন্ত গুরুত্ব
রয়েছে। ফলিক এসিডের কারণে আমাদের দেহে রক্ত কণিকা ও প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য
করে। এছাড়াও ফলিক এসিড বা বি৯ সেবন করেন তাহলে রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করতে
সহায়তা করে। এছাড়াও গর্ভের শিশুর ব্রেইন এবং নানান জন্মগত ত্রুটি থেকে ফলিক
এসিড প্রতিরোধ করে থাকে।
গর্ভধারণের প্রথম সপ্তাহের দিকে নিউরাল টিউব তৈরি হয়। নিউরাল টিউবের পরবর্তীতে
শিশুর ব্রেইন এবং অন্যান্য অংশ তৈরি হয়। এখন কথা হল এই অবস্থায় যদি ফলিক
এসিডের ঘাটতি থাকে তাহলে শিশুর ব্রেইন এবং অন্যান্য জন্মগত যে ত্রুটিগুলো থাকে
সেগুলো দেখা দিবে। এজন্য গর্ভ অবস্থায় ফলিক এসিড এর গুরুত্ব অত্যান্ত রয়েছে
গর্ভধারিণী মায়ের জন্য।
এ পর্বে আপনাদেরকে জানাবো কতটুক ফলিক এসিড খাবেন এবং কিভাবে খাবেন। প্রতিটি
গর্ভধারিনী মায়ের জন্য ০.৬০ মিলিগ্রাম ফলিক এসিড প্রয়োজন। তবে পুরোপুরি খাবার
থেকে ফলিক এসিড পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে যাবে এজন্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে
থাকেন ৪০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট সেবন করা। তাহলে আপনার গর্ভ অবস্থায় বাচ্চার
ব্রেন সতেজ সুস্থ থাকবে। আশা করি গর্ভাবস্থায় আইরন ও ফলিক এসিড খাওয়ার
উপকারিতা বুঝতে পেরেছেন।
আইরন ও ফলিক এসিড এর যে বিষয়ে খেয়াল রাখবেনঃ
-
আয়রন ও ফলিক এসিডযুক্ত মাল্টিভিটামিন ওষুধ খেলে আলাদা করে আয়রন বা ফলিক
এসিড ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই।
-
ফলিক এসিড আলাদাভাবে কিনতে হলে ৫০০ থেকে ৫ হাজার মাইক্রগ্রাম ডোজের
কিনবেন।
- তবে আপনি যেই ওষুধই খান না কেন এ অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
গর্ব অবস্থায় ভিটামিন ডি অভাবের লক্ষণ
মাতৃকালীন সময়ে একজন নারীর শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য অনেক পরিবর্তন আনে। আর
এটি হয়ে থাকে প্রায় ভিটামিন ডি এর অভাবে। ভিটামিন ডি গর্ভকালীন মায়ের হাড় সবল
রাখা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়া থেকে শুরু করে সকল অঙ্গ সুস্থ রাখে।
তাই ভিটামিন ডি গর্ভকালীন মায়ের অত্যন্ত প্রয়োজন। ভিটামিন ডি রোদ্রের আলোতে
পাবেন কিন্তু গর্ভকালীন অবস্থায় বেশি থাকা যায় না। সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
ভিটামিন ডি- ঘাটতি পূরণের জন্য যে সকল খাবার খাওয়া যাবে সেগুলো হচ্ছে আপনি
স্যালমন মাছ খাবেন স্যালমন মাছে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ডি । তাই আপনার খাদ্য
তালিকায় স্যালমন মাছ রাখুন। এছাড়াও দুধ এবং কমলা রসে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
আপনার প্রতিদিনের তালিকায় দুধ এবং কমলার রস রাখুন। অবশ্যই
গর্ভাবস্থায় ভিটামিন ডি পূরণের জন্য উপযুক্ত খাবারগুলো খাবেন।
ভিটামিন ডি এর অভাবে যে লক্ষণগুলো সচরাচর দেখা যায় সেই লক্ষণগুলো নিয়ে আপনি
চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন এবং মা ও শিশু সুস্থ থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন এবং
উপযুক্ত ব্যবস্থা নিবেন। ভিটামিন ডি পূরণের জন্য খাবার তালিকা ডিযুক্ত খাবার
এবং পরিমাণমতো সূর্যের আলোতে থাকবেন। ঘনঘন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন এবং নিজের
দিকে খেয়াল রাখবেন।
গর্ভাবস্থায় কিছু জরুরী খাবারের তালিকা দেওয়া হল
সন্তানের জন্য পিতা-মাতা কতই না কিছু করে। আর সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর
মেধাবী হবে এবং আমার বাচ্চার সবচেয়ে বুদ্ধিমান হবে এ প্রত্যাশা সবাই
করেন। এজন্য আপনাকে কিছু খাবার খাওয়া প্রয়োজন যেগুলো খাবার খেলে আপনার
বাচ্চার ব্রেন ডেভেলপ হবে। সে সব খাবার নিয়ে আজকে আলোচনা করব বিস্তারিত
জানতে পুরো লেখাটি পড়ুন।
- মাছঃ বাচ্চার ব্রেন ডেভেলপের জন্য কিছু খাবার তালিকার মধ্যে প্রথমে আপনাকে আমি মাছ খাওয়ার কথা বলব। কারণ মাছ সবার প্রিয় আর মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। যা আপনার শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের জন্য অত্যন্ত জরুরী।
- ভিটামিন ডিঃ শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের জন্য ভিটামিন ডি এর ব্যাপক প্রয়োজন রয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছে যেসব শিশুদের মাত্রার চেয়ে ভিটামিন কম সে সব শিশুদের মস্তিষ্ক দুর্বল হয়ে থাকে। তাই পার্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি এর প্রয়োজন রয়েছে এজন্য আপনাকে মাছ, ডিম, পনির এ জাতীয় খাবার খেতে হবে। আর গর্ভকালীন সময় যেহেতু সূর্যের আলোতে বেশি থাকা যাবে না সেহেতু নিয়ম মাফিক থাকবেন। তাহলে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে।
- আইরনঃ গর্ভাবস্থায় আপনাকে আইরন পর্যাপ্ত পরিমাণ রাখতে হবে। কারণ আইরন সন্তান বুদ্ধিমান করে। গর্ভাবস্থায় সন্তান থাকার সময় আইরন সন্তানের কাছে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। তাই আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রনের সাপ্লিমেন্ট খাবেন।
- দইঃ দুই এমন একটি খাবার যে একে পছন্দ করো না এমন লোক পাওয়া দুষ্কর। বেশি বেশি গর্ভাবস্থায় নারীকে দই খাওয়াবেন, কারণ দইয়ে আছে ক্যালসিয়াম যা স্নায়ুকোষ তৈরিতে সাহায্য করে।
- ডিমঃ গর্ভাবস্থায় আপনি বেশি ডিম খাবেন। কারণ ডিমে রয়েছে অ্যামিনো এসিড কোলিন সমৃদ্ধ পুষ্টি। আপনি অন্তত দিনে দুইটি ডিম খাবেন তাহলে মস্তিষ্কের গঠন ভালো হবে ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
-
গর্ভাবস্থায় চিড়া খাওয়া যাবে কি হ্যাঁ আপনি গর্ভাবস্থায় চিড়া খেতে
পারবেন।
উপরোক্ত আলোচনা অনুযায়ী গর্ভকালীন সময় আপনি খাবার খেলে অ্যামিনো এসিড,
ক্যালসিয়াম , ভিটামিন ডি ফ্যাটি এসিড এগুলো ঘাটতি পূরণ হবে।
গর্ভাবস্থায় কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলা উচিত
কিছু খাবার গর্ভবতী মেয়েদের জন্য ঝুঁকি হয়ে থাকে। এবং কিছু খাবার
এড়িয়ে না চললে গর্ভধারণ জটিলতা পড়তে পারেন। গর্ভধারণ অবস্থায় যেসব
খাবার এড়িয়ে চললে আপনার শিশু মেধাবী হবে সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো। এটি
জানতে হলে লেখাটি পুরো পড়তে হবে।
- যেগুলো খাবার এড়িয়ে চলতে হবে সেটির মধ্যে প্রথমে বলবো, কাঁচা দুধ এবং কাঁচা দুধ থেকে তৈরি পনির, এ জাতীয় খাবারের লিস্টেরিয়া জাতীয় ব্যাকটেরিয়া থাকে, তাই লিস্টেরিয়া রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই এটি আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে।
- যেসব খাবারের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে সেগুলো খাওয়া যাবেনা কারণ সেগুলো খাবারে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে।
- কাঁচা মাছও খেতে পারবেন না কারণ এগুলোতে উচ্চ মাত্রায় ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবী থাকতে পারে তাই এটি আপনাকে পেরিয়ে থাকতে হবে।
- রান্না না করা অঙ্কুরিত বীজ যেমন খাদ্যশস্য, সিম, কাঁচা মুলা এগুলো খাওয়া যাবে না। কারণ এগুলোতে লিস্টেরিয়া, সালমোনিয়া জাতীয় ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে।
- এছাড়াও কাচা ডিম কিংবা যেগুলো কম সিদ্ধ ডিম সেগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন কারণে এগুলো সালমোনিয়া ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে।
-
আশা করি গর্ব অবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন
গর্ভাবস্থায় সবেদা ফল খেলে কি হয় বিস্তারিত
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়। এ বিষয়টি মাথায় রেখে আপনাকে
খাদ্য তালিকা তৈরি করে খাদ্যাবাসীর উপর ভর দিতে হবে। একজন গর্ভবতী নারী
গর্ভাবস্থায় কোন খাবার খেলে সে সুস্থ থাকবে সেদিকে নজর দিতে হবে। কত কত
খাবারে প্রোটিন, ভিটামিন অধিক রয়েছে আবার কত কত খাবারে এগুলো নেই সেটা
যাচাই করে খেলে আপনার গর্ভবতী মা সুস্থ থাকবে এবং বাচ্চা মেধাবী হবে।
সবেদা ফলটি ভারতে আমেরিকায় বেশি পরিমাণ পাওয়া যায়। সফেদা ফলটি
গর্ভবতী মেয়েদের জন্য খুবই ভালো একটা ফল এটি পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যসম্মত
তালিকা রাখা যায়। গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এই
সবেদা ফল। সবেদা ফলটিতে অনেক রকমের পুষ্টি পাওয়া যায় যেমন, কপার,জিংক,
ফসফরাস, আইরন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, ইত্যাদি।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় বিষয়টি বলতে গেলে, অবশ্যই সবেদা ফলের
নাম এখানে আসবে কারণ সবেদা ফলের মধ্যে অনেক পুষ্টি রয়েছে। গর্ভবতী
মেয়েদের জন্য সর্বদা ফলটি নিরাপদ খাবার। তাছাড়াও এটি আপনার আদর্শ ফল
হয়ে থাকে যাদের কিছুদিনের মধ্যে স্তন্যপান করাবেন তাদের ক্ষেত্রে।
গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি, এ বিষয়ে জানতে হলে উত্তর হবে হ্যাঁ
আপনি গর্ভাবস্থায় লেবু খেতে পারবেন।
শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়। এ বিষয় নিয়ে উপরে অনেক আলোচনা
করেছি, এর মধ্যে বলা যায় মাছ, ডিম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, ভিটামিন
ডি, ফসফরাস এ জাতীয় খাবার খাওয়াবেন তাহলে বাচ্চা বুদ্ধিমান
হবে। এছাড়াও আপনি নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবা যোগাযোগ করবেন এবং সে
অনুযায়ী বড়ি কিংবা খাদ্য তালিকা তৈরি করবেন। তাহলে আপনার আদর্শ সন্তান
হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
গর্ভাবস্থায় মায়ের জন্য সবুজ শাকসবজির কোন বিকল্প নাই এবং ফলমূল বেশি
খাওয়াতে হবে। একটি কথা মনে রাখতে হবে আপনার প্লেটের খাবারের অর্ধেক
সবজি এবং ফলমূল হতে হবে। তাহলে আপনি আদর্শ এবং বুদ্ধিমান সন্তান লাভের আশা
করতে পারেন। এছাড়াও আপনি আয়রন,
ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, এগুলো ডাক্তারের পরামর্শ
অনুযায়ী খাওয়াবেন। আর এটি আপনার জন্য উত্তম হবে
টিপসলার্ন বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url