ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ১৫টি কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত

 

ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ১৫টি কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ুন। আজকেরে ব্লগের মাধ্যমে ১৫ টি ব্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানাবো। ব্রেইন আমাদের এমন এক ইন্দ্রিয় যা পুরো দেহকে কন্ট্রোল করে।

ব্রেইন-ক্ষতিগ্রস্ত-হওয়ার-১৫টি-কারণ-সম্পর্কে-বিস্তারিত

এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন ব্রেইন এর রক্ত শুকিয়ে গেলে কি হয় এবং রক্তক্ষরণ হলে কি হয়। এছাড়াও আরো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার লক্ষণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আপনাদেরকে জানাবো। পুরো জানতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

সূচিপত্রঃ ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ১৫টি কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত

ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ১৫টি কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত

ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ১৫টি কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত বিস্তারিত জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়তে হবে। তাহলে আপনি এ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবেন। সাধারণভাবে আমরা সবাই জানি ব্রেইন কি এবং ব্রেনের মাধ্যমে আমাদের পুরো দেহটি কন্ট্রোল করছি। দৈনন্দিন জীবনে বহু কারণে আমাদের ব্রেইন ক্ষতি হচ্ছে। বর্তমান সময়ে যুবক ছেলেরা মোবাইল ফোনের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। যা ব্রেইন এ ক্ষতি হওয়ার প্রধান কারণ। 

অতিরিক্ত মোবাইল দেখা, রাত জেগে থাকা, খাবারের প্রতি অনীহা, মূলত এসব প্রধান কারণের জন্য আমাদের ব্রেইন ক্ষতি হয়। আজ কাল আমাদের সমাজে রাত জেগে থাকা  যেন একটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। অথচ রাত জেগে থাকা ব্রেইন এর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এছাড়াও খাবারের প্রতি অনীহা বা খাবার ঠিক মতন খাওয়া হয় না। আমাদের সমাজে মৃত খাবারের ভাগ বেশি খাই। এছাড়াও অনেক কারণ রয়েছে যা আমাদের ব্রেইন ক্ষতির জন্য আমরা নিজেই দায়ী।

খাবার মূলত আমরা তিনভাগে খেয়ে থাকি। মৃত, অর্ধ মৃত এবং জীবিত। মৃত খাবার বলা হয় আমরা অতিরিক্ত যে খাবারগুলোকে ভেজে খায় তার কোন কাঁচা হাত থাকে না তাকে আমি মৃত খাবার বলে। আর বর্তমানে আমাদের সমাজের মৃত খাবারের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে মুখরোচক খাবার সহ। এসব নানান খাবার আমাদের দেহের থেকে শুরু করে ব্রেনের পর্যন্ত ক্ষতি হয়। এবং মস্তিষ্ক বিকাশের বিভিন্ন ঘটে।

অপর্যাপ্ত ঘুম হলে কি ব্রেনের ক্ষতি হয়

বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুযায়ী আমাদের ব্রেইনের সবচেয়ে ক্ষতি হওয়ার কারণ অপর্যাপ্ত ঘুম। আমরা ঠিকমতো ঘুমাই না বা সঠিক মাপে ঘুমায় না। এ কারণে যত আমাদের ব্রেনের ক্ষতি হচ্ছে। ব্রেন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটি নিয়ে অনেকেই অবহেলা না করে পর্যাপ্ত পরিমাণ এবং আপনার দেহ ঠিক রাখেন। সঠিক পরিমাণ ঘুম না হলে আপনার মাথা ঠিক থাকবেনা, এবং আপনার মাথা ঠিক না থাকলে সঠিক কাজ করতে পারবেন না বা কাজে সফলতা আসবে না। 

আপনি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। এবং আপনি রাত হয়ে গেলে যত তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন তত আপনার মস্তিষ্কের জন্য ভালো। আপনি যখন রাত্রে ঘুমাবেন তখন আপনার মস্তিষ্ক থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলো পরিষ্কার হয়ে যায়। এবং নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে। আর আপনার ব্রেনের নিউরন নির্গত হয়। এজন্য মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে।
কিন্তু যদি আপনি সাত ঘন্টার কম ঘুমান তাহলে আপনার ব্রেনের নতুন কোচ তৈরি হয়নি। এর ফলে আপনি কোন কিছু মনে রাখতে পারবেন না বা কম পারবেন। মনোযোগ দিতে পারবেন না, নিজের খিটখিটে হয়ে যাবে কোন বিষয়ে যদি আপনি সিদ্ধান্ত নিন তাহলে সেটি সঠিক মার্কিং করতে পারবেন না। আর আর যদি আপনি মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে চান। তাহলে উপায় একটাই সর্বনিম্ন আট ঘন্টা ঘুমাতে হবে। আর যদি আপনি আট ঘন্টার কম ঘুমান তাহলে আপনার ব্রেনের ওপরে ইফেক্ট পড়বে। 

সকালে সময়মত নাস্তা না করলে ব্রেইনের যা হয়

ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ১৫টি কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার মধ্যে সকালে সময় মতো নাস্তা না করা এটি একটি কারণ। বর্তমান সময়ের যুবকদের এটি একটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে যে, রাত জেগে থাকা এবং ঘুম থেকে দেরিতে ওঠা এবং সকালে নাস্তা না করা। এর পাশাপাশি একটি মারাত্মক যে ভুলটি করে থাকে সেটি হচ্ছে ধূমপান করে। এটি একটি মারাত্মক ধরনের অপরাধ এবং ক্ষতিকর যা আপনি নিজেই জানেন না যে আপনি কতটা ক্ষতি করছেন আপনার মস্তিষ্কের।

সারারাত না খেয়ে থাকার পর আপনি যখন কাজে চলে যাবেন সকালে নাস্তা না করে। তখন আপনার মস্তিষ্কে ব্যাপক ধরনের ক্ষতি করে। কিন্তু আমরা কাজের চাপের কারণে সকালের গুরুত্বপূর্ণ নাস্তাটি কে এড়িয়ে চলি। যা আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয় মস্তিষ্কে। এতে আপনার রক্তের শর্করা কমে যায় যা মস্তিষ্কের উপর প্রভাব পড়ে। আপনাকে সুস্থ ও সবল ও সুঠাম দেহের অধিকারী হতে গেলে আপনাকে ঠিক টাইমে খেতেই হবে। সঠিক সময়ে খাওয়া এটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস। 

আপনি যখন দিনের পর দিন সকালের নাস্তা এড়িয়ে যাবেন তখন আপনার রক্তের শর্করা কমে যাবে। এবং ব্রেনের ক্ষতি হবে। এছাড়াও মস্তিষ্কের ক্ষয় হয় এবং আপনার পোস্টগুলো দুর্বল হয়ে যায় এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয়। এবং আপনি সঠিক কাজে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না মস্তিষ্ক ঠিক না থাকার কারণে আপনার সমস্ত কাজগুলো ধীরে ধীরে করতে সমস্যা হবে। তাই সুস্থ মস্তিষ্কর অধিকারী হতে হলে সঠিক সময় খাওয়ার পরিবেশন করুন। 

ব্রেইনের ক্ষতি হয় অপর্যাপ্ত পানি পান করলে

আমাদের মস্তিষ্কে ৭৫% পানির প্রয়োজন হয়েছে। তাই পানি পান করার কোন বিকল্প নেই। দীর্ঘদিন পর্যাপ্ত পানি পান না করলে শরীর ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে। ব্রেনের ক্ষতি হওয়া ছাড়াও কিডনি ও লিভারের চরমভাবে ব্যাঘাত হানতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা সবাইকে পানি পান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন একজন পুরুষ কমপক্ষে দিনে ১০-১২ বারো গ্লাস পানি পান করবে। এবং একজন নারী দৈনিক কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।

আমাদের দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না থাকলে মস্তিষ্কের টিস্যু দুর্বল হয়ে যায়। এবং টিসুগুলোর কার্যক্ষমতা দিন দিন হারিয়ে যায়। এজন্য আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এছাড়াও পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীর ও মন ভালো থাকে। বিশেষ করে ব্যায়াম করার আগে এবং পরে পানি পান করা খুবই কার্যকরী সময়। তাই বেশি বেশি পান করুন এবং সুস্থ থাকুন আরো জানতে নিচের দেওয়া লেখাগুলো পড়ুন।

এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে বেশিক্ষণ পানি পান না করলে মুড সুইং, অবসাদগ্রস্ততা, স্মৃতিশক্তি নষ্ট এবং মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগ হয়। এছাড়াও অনেকে রয়েছে পানি পানের বদলে কফি অথবা কোকাকোলা পান করেন এটিও মাথাব্যথা হওয়ার কারণ। তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন পরপর দুই থেকে তিন গ্লাস পানি পান করুন। তাই আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এছাড়াও অপর্যাপ্ত পানি পান করার কারণে কিডনি ও লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে থাকে।

নিয়মিত পানি পান না করলে কিডনি ও লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে থাকে। এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকর টক্সিন নিয়মিত ছড়াতে থাকে এবং এ থেকে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা ব্যবহারে বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন কিডনি ও লিভারের রোগ থেকে সুরক্ষা পেতে হলে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাই ব্রেনের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি এ ক্ষতিগুলো হয়ে থাকে অপর্যাপ্ত পানি পান করার কারণে। 

অতিরিক্ত চাপ ও শুয়ে-বসে থাকা ব্রেইনের ক্ষতি করে

দীর্ঘ সময় ধরে আপনি চাপের মধ্যে কাজ করে যদি থাকেন তাহলে আপনার ব্রেইনের কোষগুলো মারা যায়। ফ্রন্টাল করটেক্স সংকুচিত হয়ে পড়ে দীর্ঘক্ষণ চাপে থাকার কারণে। এতে আমার আপনার চিন্তাশক্তি ব্যাপক হারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। তারাই বেশি মানসিক চাপে থাকে, আপনি হয়তো তাদের দেখেছেন তারা হচ্ছে না শব্দটি বলতে জানেনা। শুদ্ধ ভাষায় বলতে গেলে মুখের সামনে যারা প্রতিবাদ করতে পারে না ভয় বিষন্নতার মধ্যে থাকে তাদের অতিরিক্ত চাপ বেড়ে যায়।

অতিরিক্ত চাপ নেওয়া যেমন খারাপ তেমনি দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা ও খারাপ। অনেকেই আছেন যারা একই জায়গায়তে বসে কাজ করতে হয়। এবং বাইরে উঠে হেটে বেড়া এবং রোদ্রে কিছুক্ষণ থাকা এগুলো হয় না। এছাড়াও ছুটির দিন এলে শুয়ে বসে কাটাই। এরাই মূলত অসুস্থ তার মধ্যে থাকে। এতে আপনার অনেক রকমের সমস্যা হতে পারে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস বিশেষ করে এগুলোর ঝুঁকি বেড়ে যায়।

তাই মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে হলে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ভিটামিন ডি গ্রহণ করার জন্য কমপক্ষে ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকুন কিংবা কাজ করুন। প্রতি আধা ঘন্টা পর পর, আপনি যেখানে বসে আছেন সেখান থেকে উঠে হাঁটাচলা করুন। এটি নিয়মিত করতে হলে, আপনি টাইমার সেট করে রাখতে পারেন। তাহলে আপনার মেরুদন্ড সঠিক থাকবে। এবং ব্রেইনের ক্ষতিরোধ হবে। আশা করি অতিরিক্ত চাপ ও শুয়ে বসে থাকা থাকা ব্রেনের ক্ষতি করে বিষয়টি সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

গুগল সার্চ, ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ১৫টি কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত

আপনি হয়তো একটি বিষয় অবগত আছেন যে, আমাদের আগের প্রজন্মরা ছোটখাটো হিসাব ক্যালকুলেটর ছাড়াই করতে পারত। মোবাইল নাম্বার মুখস্ত করা থেকে প্রচুর বই পড়তো। এতে তাদের জ্ঞান বৃদ্ধি ও ব্রেনের ব্যায়াম হতো। এতে করে স্মৃতিশক্তি দীর্ঘায়িত হয়। বিভিন্ন বদভ্যাস গুলো এড়িয়ে চলত। যেমন ধূমপান করা থেকে বিভিন্ন নেশা করত। এতে মারাত্মকভাবে ব্রেনের প্রতি আঘাত হানত।

কিন্তু বর্তমানে এ সময়তে আমাদের এত কিছু মনে রাখতে হয় না। এক গ্লাস পানি পান কিভাবে করতে হয় এটি জানতো আমরা গুগলের শরণাপন্ন হয়। প্রযুক্তির ওপর এমন নির্ভরশীলতার কারণে আমাদের ব্রেনের ধারণা শক্তি ক্ষমতা কমে গেছে। এছাড়াও চিন্তাশক্তি স্মৃতিশক্তি অনেক হারে দুর্বল হয়ে পড়েছে। এবং প্রতিটি কাজ মানুষকে দিয়ে না করিয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে করে মানুষ যেমন কর্ম হারিয়েছে, তেমনই কর্মক্ষম হয়ে উঠেছে।

এজন্য মস্তিষ্ক সুস্থ সবল রাখতে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন সহজেই সবকিছু গুগলে সার্চ দিয়ে সমাধান না করে প্রথমে আগে মস্তিষ্ক খাটিয়ে বের করুন। এতে যদি না হয় তারপরে আপনি গুগল এর সাহায্য নিতে পারেন। এতে করে কি হবে আপনি প্রযুক্তির সাহায্য নিলেও নিয়েছেন। কিন্তু তার আগে আপনার মস্তিষ্ক ব্যবহার করেছেন এতে করে আপনার মস্তিষ্কের ব্যায়াম হয়েছে এবং জানার আগ্রহ বেড়েছে। এমনকি আপনার স্মৃতি ও চিন্তাশক্তি ডেভলপ হয়েছে। এবং মস্তিষ্ক ঠিক রাখতে প্রযুক্তি ব্যবহার না করি।

হেডফোন ব্যবহার ও উচ্চ শব্দের গান শোনা ক্ষতিকর

আমি আপনি হেডফোন বা ইয়ার পরের মাধ্যমে যে গান শুনি সেটা ৩০ মিনিটের ও কম সময়ের মধ্যে আপনার শ্রবণ শক্তির ক্ষতি করতে পারে। সেই সাথে উচ্চ শব্দের গান শোনা কিংবা তার সাথে অঙ্গভঙ্গি করা মারাত্মক ক্ষতিকর। এবং সবচাইতে আমার এবং আপনার বিপদমুখী হতে পারে সেটি হচ্ছে শ্রাবণ শক্তি একবার যে ক্ষতিটা হয় সেটা আর ঠিক হয় না। এবং আপনার শ্রবণশক্তি যদি কমে যায় সেটা মস্তিষ্কে গিয়ে ইফেক্ট ফেলে। মস্তিষ্ক ভালো রাখার জন্য এগুলো আমাদের এড়িয়ে চলতে হবে।

মার্কিন গবেষকদের মতে, যাদের প্রবল শক্তি কমে গেছে সে ব্যক্তিগুলোর মস্তিষ্কের টিস্যু মরে গিয়ে আলজেইমার্স হওয়ার আশঙ্কা প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায়। ফলে পড়ালেখা থেকে শুরু করে যে কোন আপনার ব্যক্তিগত কাজ করতে পারবেন না কিংবা মনোযোগ দিতে পারবেন না। এজন্য আমাদের হেডফোন ব্যবহার কমিয়ে দিতে হবে। এছাড়াও উচ্চ শব্দে গান শোনা থেকে বিরত থাকতে হবে।

হেডফোনের মাধ্যমে গান শোনা এবং জোরে ভলিউম দিয়ে গান বাজনা সোনা এগুলো প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সেহেতু এগুলো ব্যবহার করার আগে আপনি ভেবে চিন্তে ব্যবহার করবেন। এছাড়াও কোন কোন জায়গাতে আপনাকে হেডফোন ব্যবহার করতে হবে, সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে ভলিউমটা ৬০% এর উপরে না যায়। এবং একসাথে হেডফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কমপক্ষে একঘন্টা বিরতি দিয়ে ব্যবহার করুন।

একা একা ডিপ্রেশনে থাকা সামাজিক না হওয়া

আপনি যদি একা একা ডিউটিতে ভুবন এবং সামাজিকভাবে বন্ধু-বান্ধব দের সাথে আড্ডা না দেন এবং হাসি মজা না করেন। সে ক্ষেত্রে আপনার ব্রেইন এর ওপর ব্যাপক হারে ইফেক্ট পড়বে। সামাজিকভাবে চলাফেরা মস্তিষ্কের জন্য খুবই জরুরী। আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ এ না ঘুমান সে ক্ষেত্রে আপনার ব্রেইনে যে এফেক্ট করবে ঠিক তেমনি একা একা বিষণ্ণতাই থাকলে মস্তিষ্কে ঠিক তেমনটাই বিঘ্ন ঘটবে।
আপনি যদি একাকীত্ব ও বিষন্নতায় ভোগেন তাহলে আপনার মস্তিষ্কের প্রবলেম হবে। এবং আলঝেইমার্স রোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই আপনাকে বেশি বেশি হাসি মজা এবং বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডা দিতে হবে। তাহলে আপনার ব্রেইন এর উপর কোন ইফেক্ট করবে না। আশা করি একা একা ডিপ্রেশন এ থাকা ও সামাজিক না হওয়ার সমস্যা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছে। এখন কিভাবে আপনি ভালো থাকবেন সেটি বলা হলো।

স্বাস্থ্যই সুখের মূল। বর্তমানে মানুষ শুধু হাসার জন্যই লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে থাকেন। যেহেতু এটি স্বাস্থ্যের সাথে সম্পৃক্ত তাই আপনাকে ব্রেইন ভালো রাখার জন্য ডিপ্রেশন থেকে মুক্ত এবং সামাজিকভাবে চলাফেরা করার মাধ্যমে আপনাকে হাসিময়ী থাকতে হবে। এজন্য বলছি যদি সুস্থ থাকতে চান নিয়মিত কয়েকজন কাছের বন্ধু এবং আত্মীয়-স্বজন পরিবারের সাথে সময় কাটান। 

নেতিবাচক চিন্তা ও মানুষঃ ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ১৫টি কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত

যদি আপনার মস্তিষ্কের ভিতরে ও নেতিবাচক সবসময়ই কাজ করে। তাহলে আপনার ব্রেইনে সমস্যা হবে। এখন যদি আপনি ভাবেন, ভবিষ্যতে আমি কি করব, আমার দ্বারা কিছুই হবে না, এরকম ধরনের বাক্য যদি আপনার ভিতরে থাকে। তাহলে আপনি সমস্যার মধ্যে আছেন। এরকম চিন্তা ভাবনা আপনার মস্তিষ্কে গিয়ে আঘাত হানে এবং টিসুগুলো মরে যায় কিংবা দুর্বল হয়ে যায়। তাই আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না কোষগুলো দুর্বল হওয়ার কারণে।
ব্রেইন-ক্ষতিগ্রস্ত-হওয়ার-১৫টি-কারণ-সম্পর্কে-বিস্তারিত
মস্তিষ্কে এমাইলয়েড এবং টাউ জমে যা আলেইঝেমার্স এর মত সমস্যায় করতে পারেন। নেতিবাচক মনোভাব আপনাকে প্রথম স্থান থেকে দূরে ঠেলে দিবে। যেমন একটি উদাহরণ দিলে বুঝতে পারবেন, ধরুন আপনি একজন আর্টিকেল প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, এমন অবস্থায় আপনি যদি ভাবেন, আমি কিভাবে এতগুলো লিখব মানসম্মত বাক্য দিতে পারব কিনা। কোন কপিরাইট চলে আসবে। এগুলো যদি আপনি মাথায় নিয়ে থাকেন তাহলে আপনি আর্টিকেল রাইটার হতে পারবেন না।

আপনার মনোভাব যদি এমনি থাকে তাহলে এটি অভ্যাসে পরিণত হবে। যা আপনাকে সার্থক হতে পিছু ডাকবে। এজন্য নেতিবাচক মাথার ভিতরে আসলে সেটা থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। সে সাথে নেতিবাচক সঙ্গীদের এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত নেতিবাচক খবর দেখা এবং নেতিবাচক মনোভাব মানুষের সঙ্গে ত্যাগ করুন। আপনি এটি যত তাড়াতাড়ি করবেন ততই আপনার মঙ্গল। এবং সেই সাথে আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি।

অন্ধকারের সময় কাটালে ব্রেইনে যা ঘটে

মার্কিন এ গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা অন্ধকার সময়ে কাটান বা একা একা থাকতে পছন্দ করেন। তাদের ব্রেনের প্রতি প্রচুর চাপ পড়ে এবং অনেক রকমের ক্ষতি হওয়া বা রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দীর্ঘ সময় এমন অন্ধকারে থাকার জন্য আলো বাতাস চলাচল করে না এমন কোন আবদ্ধস্থানে যদি থাকেন তাহলে মস্তিষ্কের ওপর ব্যাপক চাপ পড়ে। আমাদের মস্তিষ্কের সূর্যের আলো জরুরী এতে যদি আপনার মস্তিষ্কে শুধ যেন না পড়ে ডিপ্রেশনে ভোগার সম্ভাবনা রয়েছে।

বর্তমান সময়ের যুবকেরা একা একা বা অন্ধকারের সময় কাটার জন্য। আত্মহত্যার পরিমাণ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। একা একা থাকা একটি মারাত্মক সমস্যা এতে আপনার নিজের যেমন ক্ষতি পারিবারিক ভাবেও তেমন অশান্তি থাকে। এতে ফ্যামিলির সাথে সম্পর্ক থাকে না। এতে আপনার জীবন আরো অন্ধকারে চলে যায়। যা মস্তিষ্কের উপর চাপ পড়ে এবং কিছুগুলো আহত হয়। আর বুঝতেই পারছেন মস্তিষ্কের কিছু দুর্বল হওয়া মানে আপনার সমস্ত কিছু দুর্বল হয়ে যাওয়া।
আপনি যদি মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে চান তাহলে অন্ধকার সময় থেকে বাইরে আসুন। সূর্যের আলোতে থাকুন ফ্যামিলির সাথে হাসুন এবং ভালো বন্ধুর সাথে চলাফেরা করুন। এতে করে আপনার অন্ধকার জীবনটাও যেমন লাভ হবে তেমনি ব্রেইনের উন্নয়ন ঘটবে। তাছাড়া যে সময় আপনি ঘরের ভেতরে থাকবেন জালানা দরজা খুলে রাখুন যাতে করে বাইরের আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে এবং আপনার মন শীতল রাখতে পারে।

ব্রেইন সুস্থ রাখার জন্য খাদ্যাভ্যাস কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ

কম খাওয়া যেমন দেহের ক্ষতিকর তেমনি অতিরিক্ত খেলেও ব্রেইনের উপর ইফেক্ট পরে ও আপনার ব্রেইনের সমস্যা হয়। এক মার্কিন গবেষণা দেখা গিয়েছে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আপনার মস্তিষ্কের ধমনী গুলোর মধ্যে কোলেস্টেরল জমে যায় এবং রক্ত প্রবাহ কমে যায়। এতে করে আপনার চিন্তা শক্তি, ইচ্ছা শক্তি কিংবা স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। যার ফলে আপনার দেহে আলঝেই মার্স হতে পারে। এছাড়াও কমল পানি, ভাজাপোড়া খাবার, চিনিযুক্ত খাবার, এসব একই ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।

কমল পানি, ভাজাপোড়া, চিনিযুক্ত খাবার, এগুলো বেশি বেশি খেলে। বিভিন্ন ধরনের রোগের সমস্যা হতে পারে এবং আপনার ব্রেনের সমস্যা হতে পারে। এজন্য পরিমিত সঠিকভাবে খাবার আপনাকে খেতে হবে এবং দৈনিক কিলো ক্যালরি হিসাব রাখতে হবে। এখন যদি এগুলোর হিসাব রাখার আপনার সমস্যা হয় বা রুটিন করতে না পারেন। তাহলে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে বিভিন্ন অ্যাপস রয়েছে সেগুলোকে ডাউনলোড করে। আপনার দৈনন্দিন কাজে কাজে লাগাতে পারবেন।

অনেকে ডায়েট বলতে মনে করেন পেটের চর্বি কমে গেলেই হয়ে গেল। কিন্তু মনে রাখতে হবে আপনার মস্তিষ্কের ৬০ শতাংশ ফ্যাট সেহেতু আপনাকে সব ধরনের ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবে কিন্তু মাপ রেখে পরিমাপ মতন খেতে হবে। এছাড়াও কিছু আমাদের বদভ্যাস আছে যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর যেমন ধূমপান ও মদ্যপান। এগুলো ক্ষতিকর আমরা মোটামুটি সবাই জানি। কিন্তু সবচাইতে যেটা বেশি ঘটে সেটি হল আপনার মস্তিষ্কে দুর্বল করে এবং আপনার চিন্তাশক্তি কমিয়ে দেয়। 

অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমে থাকার কারণে ব্রেইনে যা হয় 

বর্তমান সময়তে যুবক ছেলেরা অনেকক্ষণ ধরে স্ক্রিন পর্দার সামনে সময় ব্যয় করে থাকেন। বিশেষ করে ফ্রন্টাল করটেক্স এ বেশি ক্ষতি হয় এটি বয়সন্ধিকাল থেকে শুরু করে ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত। এক মার্কিন গবেষণা দেখা দিয়েছে যেসব শিশুর পর্দার সামনে থাকে দৈনিক সাত ঘন্টার বেশি সময় ব্যয় করে তাদের সেরিব্রাল করটেক্স পাতলা হয়ে যায়। এটি মূলত মোবাইলের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড থেকে বিকিরণ হয়ে ক্ষতি করে থাকে।
ব্রেইন-ক্ষতিগ্রস্ত-হওয়ার-১৫টি-কারণ-সম্পর্কে-বিস্তারিত
মোবাইলের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক থেকে বিকিরণ হয়ে মানুষের সংস্পর্শে বেশি সময় থাকার কারণে বিভিন্ন মারাত্মক রোগ হয়ে থাকে যেমন টিউমার মাথাব্যথা এগুলো প্রধান। এগুলো থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই আপনাকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এবং আপনাকে একটি রুটিন তৈরি করতে হবে। এবং শিশুদের স্ক্রিন টাইম একদম কমে ফেলতে হবে এছাড়াও, ঘুমানোর সময় ফোন শরীরের কাছাকাছি রাখা যাবে না।

শিশুদের স্ক্রিন টাইম না কমালে মাথা ব্যথা থেকে শুরু করে টিউমারের মত মারাত্মক রোগ হতে পারে। এজন্য রাত্রে ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন নিজের কাছে না রেখে দূরে রাখুন। এবং ফোন ব্যাগে ব্যবহার করুন, ফোন পকেটে রাখলে সমস্যা হবে। তাছাড়া দীর্ঘক্ষণ কানে মোবাইল দিয়ে কথা না বলে স্পিকার দিয়ে কথা বলুন তাহলে আপনার ব্রেইনের প্রতি কোন ইফেক্ট আসবে না।

ব্রেইনে ক্ষতি করে এমন কিছু খাবার নিয়ে বিস্তারিত

আমরা সকলেই চাই আমাদের মস্তিষ্ক সুস্থ এবং সবল থাকুক। কেননা মানব দেহের মস্তিষ্ক এমনই এক অংশ যা নষ্ট হয়ে গেলে আপনি মানুষ হিসেবে আর থাকবেন না। তাই সুস্থ থাকতে সচেতন হোন। আমরা যে সকল খাবার খাই তার মধ্যেই রয়েছে। ব্রেইনের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। আমাদের অতিরিক্ত খাবার না খেয়ে স্বাভাবিক ভাবে খেতে হবে। বেশি খাবার খাওয়া হলে আপনার ব্রেইনে চাপ পড়ে।

আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। খাবার পেলেই আমরা পেট যতক্ষণ ভর্তি না হচ্ছে ততক্ষণ খেতে থাকে। বিশেষ করে বাঙালি খাবার পেলে যেমন গরুর মাংস, খাসির মাংস ইত্যাদি পেলে আমরা অতিরিক্ত খেয়ে ফেলি। এবং ব্রেইনের উপরে প্রচুর আঘাত হানতে আমরা নিজেরাই সাহায্য করি। এছাড়াও তেল জাতীয় খাবার কম খেতে হবে এবং ভাজাপোড়া কম খেতে হবে। এবং ফলমূল, কাঁচা ছোলা ইত্যাদি খেলে মস্তিষ্ক ভালো থাকে।।

অনেক মানুষ আছে পনির, মাখন ইত্যাদি খেতে ভালোবাসে। কিন্তু এগুলো অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে গেলে ব্রেইনের প্রতি প্রচুর চাপ পড়ে। এছাড়াও বিরিয়ানি আমাদের অনেক পছন্দ। এবং পেট পুরে খেলে মস্তিষ্কের ব্যাপক ক্ষতি করে। এবং কোষগুলো দুর্বল হয়ে যায়। এসব সমস্যা থেকে আমাদেরকে বাঁচতে হলে অবশ্যই খাবার রুটিন বানাতে হবে এবং কিছু কিছু খাবার ত্যাগ করতে হবে। যেসব খাবারের সময় সে সবগুলো বাদ দিন এবং যেগুলো খেলে উপকার সেগুলো খান।  

শেষ কথাঃ ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ১৫টি কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত

ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ১৫টি কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার চেষ্টা করেছি আপনাদের সাথে। উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমি একটি কথা বলব। নিয়ম ভঙ্গ করলে কোন কাজে সফল হওয়া যায় না। তেমনি কিছু নিয়মের জন্য আমাদের ব্রেইনে ব্যাপক ক্ষতি করে থাকে। যেমন সকালের নাস্তা না খাওয়া, ঠিক সময়তে না ঘুমানো, ব্যায়াম না করা, অতিরিক্ত খাবার খাওয়া। এগুলো থেকে বিরত না থাকলে বা নিয়মমাফিক না চললে ব্রেইনের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে।

এছাড়াও অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড থেকে বিকিরণ হয়ে তার সংস্পর্শে বেশি সময় ব্যবহার করলে মাথা ব্যথা মস্তিষ্কে টিউমারের মত মারাত্মক রোগ বালাই হতে পারে। এজন্য আপনাকে মোবাইল ফোন ব্যবহার কম করা, খাদ্যাভাস নিয়ন্ত্রণ করা, নেতিবাচক চিন্তা বাদ দেওয়া, হেডফোন ব্যবহার না করা এগুলো নিয়ন্ত্রণ করলে আপনার ব্রেইনের ক্ষতি থেকে আপনি রক্ষা পাবেন। আশা করি এই টপিকটি বিষয়ে বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ !

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টিপসলার্ন বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url